মাদাম ফোরস্টিয়ার কেন মাদাম লোইসেলকে চিনতে পারলেন না?

তাহলে ডাক্তার দেখাতে হবে

বয়সের কারণে চোখের দৃষ্টি কমে আসায় বুড়ি গল্পকথককে চিনতে পারে না। অনেকদিন পর হঠাৎ গ্রামে এসে গল্পলেখক গ্রামের বাজারে যেতে আম গাছের ছায়ায় তারই গ্রামের এক বুড়ির সাথে সাক্ষাৎ হয়।...

অতিরিক্ত পরিশ্রমের ফলে মাদাম লোইসেলকে বয়স্কা মনে হতো। মাদাম লোইসেল গরিব দুঃস্থ ঘরের শক্ত, কর্মঠ ও অমার্জিত মেয়ের মতো হয়ে গিয়েছিলেন। তাঁর চুল অবিন্যস্ত ও ঘাঘড়া একপাশে মোচড়ানো থাকতো। দশ...

ফোরস্টিয়ারের কাছ থেকে ধার নেয়া হারটি হারিয়েই মাদাম লোইসেল দুর্দশায় পড়েন। তাই তিনি ফোরস্টিয়ারকে দুর্দশার জন্য দায়ী করেছিলেন। মাদাম লোইসেল বল নাচের অনুষ্ঠানে যাবার জন্য ফোরস্টিয়ারের কাছ থেকে একটি হীরার...

লোইসেলের কাছে মণিমুক্তা বা দামি পাথর কিনে দেয়ার টাকা ছিল না বলে তিনি মাদাম লোইসেলকে ফুল দিয়ে সাজতে বলেছিলেন। লোইসেল ছিলেন শিক্ষা পরিষদ অফিসের সামান্য কেরানি। তাঁর পক্ষে মাদাম লোইসেলকে...

মাদাম লোইসেলের ধারণা বিলাসী জীবনযাপন ও মণিমুক্তার আতিশয্যের জন্যই তাঁর জন্ম হয়েছিল। সাধারণ পরিবারে তাঁর জন্ম হয়েছিল। অলঙ্কারের প্রতি তাঁর মোহ ছিল। কিন্তু তাঁর কাছে দামি ফ্রক বা জড়োয়া গহনা...

মাদাম লোইসেলের কল্পনার জগৎ ও বাস্তবতার জগৎ বৈসামাঞ্জস্যপূর্ণ ছিল বলে তিনি অসুখী ছিলেন। লোইসেলের উচ্চাকাক্সক্ষা তাকে অসুখী করে তুলেছিল। তিনি তাঁর ধনী বান্ধবীর সাথে নিজের তুলনা করতেন। ধনী বান্ধবীর সঙ্গে...

শিক্ষামন্ত্রীর অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার মতো কোনো ভালো পোশাক বা জড়োয়া গহনা মাদাম লোইসেলের ছিল না বলে আমন্ত্রণ লিপিখানা টেবিলের উপর নিক্ষেপ করে।

মাদাম লোইসেল গরিব হওয়ায় তার ধনী বান্ধবীর সাথে সে দেখা করতে চাইতেন না। মাদাম লোইসেল ছিলেন উচ্চাকাক্সক্ষী মানসিকতার অধিকারী। কিন্তু তার ভালো জামা-কাপড় বা গহনা ছিল না। অথচ এগুলোই ছিল...

দরিদ্রের মতো জীবনযাপন করতে হচ্ছে বলে মাদাম লোইসেলের মনে সর্বদা দুঃখ বিরাজ করতো। মাদাম লোইসেল সুন্দরী তরুণী হওয়া সত্ত্বেও তার বিয়ে হয়েছে এক দরিদ্র কেরানির সাথে। ধারণা ছিল যতসব সুরুচিপূর্ণ...