অনুপমের সাথে বিয়ে ভাঙ্গার পর কল্যাণী নারী শিক্ষার ব্রত গ্রহণ করে। কানপুরে অনুপম কল্যাণীকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে কল্যাণী তা প্রত্যাখ্যান করে। এই প্রত্যাখ্যানের কারণ তার মাতৃ-আজ্ঞা। বস্তুত এ মাতৃ-আজ্ঞা আর কিছু নয়, দেশমাতৃকার সেবা করা। আর এ সেবার পথ হলো মেয়েদের সুশিক্ষিত করে তোলা। মেয়েরা শিক্ষিত হলেই একটা সমাজ পরিপূর্ণ রূপে প্রতিষ্ঠিত হয়ে ওঠে। কল্যাণীর মাতৃ-আজ্ঞার ধরন বলতে নারী শিক্ষার এই বিষয়টিকেই বোঝানো হয়েছে।