সূরা মায়িদাহ, আয়াত-৪

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ হে মুমিনগণ! তোমরা অঙ্গীকারসমূহ পূর্ণ কর। তোমাদের জন্য গৃহপালিত চতুস্পদ জন্তু হালাল করা হল। সেগুলো ছাড়া যেগুলোর বিবরণ তোমাদেরকে দেয়া হচ্ছে, আর ইহরাম অবস্থায় শিকার করা অবৈধ। আল্লাহ যা চান হুকুম দেন। (আল-মায়েদাঃ ১) তোমাদের জন্য চতুষ্পদ জন্তু খাওয়া হালাল করা হল। চতুষ্পদ জন্তু বলতে এ আট প্রকার প্রাণী যথাঃ মেষ- নর ও মাদী, ছাগল- নর ও মাদী, উট- নর ও মাদী এবং গরু- নর ও মাদী। এছাড়াও অনেক প্রাণী হালাল করা হয়েছে। যেমন, ভেড়া, দুম্বা, হাস, মুরগি ইত্যাদি। তিনি সৃষ্টি করেছেন আট প্রকার পশুঃ মেষ হতে দুটি ও ছাগল হতে দুটি। বল, নর দুটি কিংবা মাদি দুটিই কি তিনি নিষিদ্ধ করেছেন অথবা মাদি দুটির গর্ভে যা আছে তা? যদি তোমরা সত্যবাদী হও তাহলে প্রমাণসহ আমাকে জানাও। (আনআমঃ ১৪৩) অর্থাৎ পূর্বে বর্ণিত গবাদি পশুর মধ্যে উট গরু ও ছাগল মিলিয়ে আট প্রকার। সেগুলোকে তিনিই সৃষ্টি করেছেন। সেগুলোর কোনটিই আল্লাহ হারাম করেননি। লোকেরা তোমাকে জিজ্ঞেস করছে তাদের জন্য কী কী হালাল করা হয়েছে। বল, যাবতীয় ভাল ও পবিত্র বস্তু তোমাদের জন্য হালাল করা হয়েছে, আর শিকারী পশু-পক্ষী- যাদেরকে তোমরা শিক্ষা দিয়েছ যেভাবে আল্লাহ তোমাদেরকে শিক্ষা দিয়েছেন সুতরাং তারা যা তোমাদের জন্য ধরে রাখে তা তোমরা ভক্ষণ করবে আর তাতে আল্লাহর নাম উচ্চারণ করবে, আর আল্লাহকে ভয় করবে, আল্লাহ হিসাব গ্রহণে ত্বরিৎগতি। (আল-মায়েদাঃ ৪) সুন্নাহতে বর্ণিত নীতি অনুসারে যে পশু শিকারী দাঁতবিশিষ্ট এবং যে পাখী শিকারী নখ বিশিষ্ট নয় তা হালাল। শিকারী দাঁতবিশিষ্ট পশু বলতে সেই পশু উদ্দিষ্ট, যে তার শিকারী বা ছেদক দাঁত দ্বারা শিকার ধরে ও ফেড়ে খায়; যেমন বাঘ সিংহ, চিতা, নেকড়ে, কুকুর প্রভৃতি। আর শিকারী নখবিশিষ্ট পাখী বলতে সেই পাখী উদ্দিষ্ট, যে তার ধারালো নখর দ্বারা শিকার ধরে; যেমন শকুনি, বাজ, ঈগল, চিল, কাক ইত্যাদি। আল্লাহ তায়ালা মানুষের জন্য যে সব খাদ্য হালাল করে দিয়েছেন, উপরিউক্ত আয়াতে সে সম্পর্কে আলোকপাত করেছেন। যা পবিত্র ও উপকারী কেবল সে খাদ্যগুলো মানুষের জন্য হালাল করা হয়েছে। অন্যত্র আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ তিনি তাদের জন্য পবিত্র বস্তু হালাল করেন ও অপবিত্র বস্তু হারাম করেন। (সূরা আরাফঃ ১৫৭)

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ