বর্তমানে আর টিভিতে আরবী কাফেলা নামক একটি ইসলামী অনুষ্ঠান প্রচারিত হয়ে আসছে । সেখানে মক্কা, মদিনা, হেরা পর্বত, উহুদের যূদ্ধ স্থান, মহানবী (সঃ) বাড়ী ও রওজা মুবারকসহ বিভিন্ন ইসলামিক ডকুমেন্টরী দেখানো হয় এবং ইসলামের ইতিহাসের বিভিন্ন আলোচনা করা হয় । যা প্রশংসা করার মত । কিন্তু এই অনুষ্ঠানে বিভিন্ন রকমের বাঁজনা যূক্ত করা হয়েছে । বাদ্যযন্ত্র সমুহ ডোল, তবলা, গিটার, ইলেক্ট্রিক গিটার ও ড্রাম, কিবোর্ড(গানের), পিয়ানো ইত্যাদি সবই বাঁজানো হচ্ছে । বেশী অবাক করার বিষয় কাবা শরিফ ও মহানবীর(সঃ) রউজা মুবারক দেখানোর সময়ও বাঁজনা বাঁজানো হচ্ছে । আমি যতটুকু জানি ইসলামে ঢাক ছাড়া যে কোন বাদ্য যন্ত্র হারাম । তাহালে এখানে গান. নাটক, সিনেমার মত বাজনা যূক্ত করা হলো কেন ? ইসলামে এই ব্যাপারে কি ব্যাখ্যা আছে ?



শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

ইসলাম ধর্মে বাদ্যযন্ত্র এবং গান বাজনা হারাম । রাসুল সঃ তা অপছন্দ করতেন । যখন আশেপাশে গান বাজনা হতো তার কান দুহাত দিয়ে চেপে ধরে চলে যেতেন । এছাড়া তিনি বাদ্যযন্ত্রের সহজলভ্যতাকে বর্ণনা করেছেন কিয়ামতের একটি লক্ষণ হিসেবে ।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

রাসুল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ ‘অবশ্যই অবশ্যই আমার পরে এমন কিছু লোক আসবে যারা যেনা, রেশম, নেশাদার দ্রব্য ও গান-বাজনা বাদ্যযন্ত্রকে হালাল মনে করবে’ (বুখারী হা/৫৫৯০)। ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তা‘আলা মদ, জুয়া ও সব ধরনের বাদ্যযন্ত্র হারাম করেছেন’ (বায়হাক্বী, হাদীছ ছহীহ, মিশকাত হা/৪৫০৩; বাংলা মিশকাত ৮ম খণ্ড হা/৪৩০৪)। আবু ওমামা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, ‘তোমরা গায়িকা নর্তকীদের বিক্রয় কর না, তাদের ক্রয় কর না, তাদের গান-বাজনা ও বাদ্যযন্ত্র শিখিয়ে দিয়ো না, তাদের উপার্জন হারাম’ (ইবনে মাজাহ, মিশকাত হা/২৭৮০)। নাফে‘ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ একদা ইবনু ওমর (রাঃ) বাদ্যযন্ত্রের শব্দ শুনতে পেলে তিনি তাঁর দুই কানে দুই আঙ্গুল ঢুকিয়ে রাস্তা হতে সরে গেলেন। তারপর তিনি আমাকে বললেন, নাফে’ তুমি কিছু শুনতে পাচ্ছ কি? আমি বললাম, না। তিনি তার দুই আঙ্গুল দুই কান হতে বের করে বললেন, আমি একদা রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর সাথে ছিলাম। তিনি বাদ্যযন্ত্রের শব্দ শুনে কানে আঙ্গুল ঢুকিয়ে রাস্তা হতে সরে গিয়েছিলেন এবং আমাকে এভাবে জিজ্ঞেস করেছিলেন যেভাবে আজ তোমাকে আমি জিজ্ঞেস করলাম (ছহীহ আবূদাঊদ হা/ ৪৯২৪, সনদ ছহীহ)। অত্র হাদীছ দ্বারা বুঝা যাচ্ছে গান-বাজনা ও বাদ্যযন্ত্রের শব্দ যেন কানে না আসে তার সম্ভবপর চেষ্টা করতে হবে। হাদিসগুলো থেকে বুঝা যায় যে ইসলামে গানবাজনা হারাম।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ