বাবা মাকে না জানিয়ে বিবাহ সম্পর্কিত তথ্য
অনেকেই এই কথা বলায় ব্যস্ত যে পিতা
মাতার অনুমতি ছাড়া বিয়ে করলে
নাকি সেই বিয়ে শুদ্ধ হবে না।
কিন্তু পিতা মাতার অনুমতি ছাড়াও যে বিয়ে
করা যায় সেই হাদীস গুলি তারা বলে না।
আর কোন ছেলেমেয়ে পিতা মাতার অনুমতি ছাড়া বিয়ে করল এরপর তাদের সন্তান হল। এখন কি তাইলে সেই সন্তানটা জারজ বলে বিবেচিত হবে ?
যদি দুইজন প্রাপ্ত বয়স্ক সমঝদার
সাক্ষ্যির সামনে প্রাপ্ত বয়স্ক পাত্র
ও পাত্রি যদি প্রস্তাব দেয় এবং
অপরপক্ষ তা গ্রহণ করে নেয়, তাহলে
ইসলামী শরীয়া মুতাবিক বিবাহ শুদ্ধ হয়ে যায়। এতে অভিভাবকের সম্মতি থাকুক
বা না থাকুক।
অভিভাবক জানুক বা না জানুক।
আপনারা উভয়ে যদি প্রাপ্ত বয়স্ক
অবস্থায় দুইজন প্রাপ্ত বয়স্ক সাক্ষ্যির
উপস্থিতিতে বিয়ের প্রস্তাব ও
প্রস্তাব গ্রহণ সম্পন্ন করে থাকেন, তাহলে আপনাদের বিয়ে ইসলামী শরীয়া মুতাবিক
শুদ্ধ হয়ে গেছে।
যদিও আপনাদের পরিবার কিছুই
জানে না। কিংবা যদি তারা অনুমতি
নাও দিয়ে থাকে।
ﻰﻠﺻ ِﻪﻠﻟﺍ َﻝﻮُﺳَﺭ َّﻥَﺃ ؛ٍﺱﺎَّﺒَﻋ ِﻦْﺑ ِﻪﻠﻟﺍ ِﺪْﺒَﻋ ْﻦَﻋ :َﻝﺎَﻗ ،ﻢﻠﺳﻭ ﻪﻴﻠﻋ ﻪﻠﻟﺍ »ْﻦِﻣ ﺎَﻬِﺴْﻔَﻨِﺑ ُّﻖَﺣَﺃ ُﻢِّﻳَﺄْﻟﺍ ﺎَﻬِّﻴِﻟَﻭ.
হযরত আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত
রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, মেয়ে তার ব্যক্তিগত বিষয়ে
অভিভাবকের চেয়ে অধিক হকদার।
{মুয়াত্তা মালিক, হাদীস নং-৮৮৮, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৪২১, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-১৮৮৮, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-২০৯৮, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২২৩৪, সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং-১১০৮, সুনানে নাসায়ী, হাদীস নং-৩২৬০, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৪০৮৪, সুনানে দারাকুতনী, হাদীস নং-৩৫৭৬} ِ
ﺕَﺀﺎَﺟ ” :َﻝﺎَﻗ ِﻦَﻤْﺣَّﺮﻟﺍ ِﺪْﺒَﻋ ِﻦْﺑ َﺔَﻤَﻠَﺳ ﻲِﺑَﺃ ْﻦَﻋ ،َﻢَّﻠَﺳَﻭ ِﻪْﻴَﻠَﻋ ُﻪﻠﻟﺍ ﻰَّﻠَﺻ ِﻪَّﻠﻟﺍ ِﻝﻮُﺳَﺭ ﻰَﻟِﺇ ٌﺓَﺃَﺮْﻣﺍ ،َﻮُﻫ ُﺏَﺄْﻟﺍ َﻢْﻌِﻧَﻭ ﻲِﺑَﺃ َّﻥِﺇ ،ِﻪَّﻠﻟﺍ َﻝﻮُﺳَﺭ ﺎَﻳ :ْﺖَﻟﺎَﻘَﻓ ﺎًﻠُﺟَﺭ ﻲِﻨَﺤَﻜْﻧَﺃَﻭ ،ُﻩَّﺩَﺮَﻓ ﻱِﺪَﻟَﻭ ُّﻢَﻋ ِﻪْﻴَﻟِﺇ ﻲِﻨَﺒَﻄَﺧ ِﻪْﻴَﻠَﻋ ُﻪﻠﻟﺍ ﻰَّﻠَﺻ ِﻪَّﻠﻟﺍ ُﻝﻮُﺳَﺭ َﺚَﻌَﺒَﻓ .ٌﺔَﻫِﺭﺎَﻛ ﺎَﻧَﺃَﻭ :َﻝﺎَﻘَﻓ ،ﺎَﻬِﻟْﻮَﻗ ْﻦَﻋ ُﻪَﻟَﺄَﺴَﻓ ،ﺎَﻬﻴِﺑَﺃ ﻰَﻟِﺇ َﻢَّﻠَﺳَﻭ ُﻝﻮُﺳَﺭ َﻝﺎَﻘَﻓ .ﺍًﺮْﻴَﺧ ﺎَﻬُﻟﺁ ْﻢَﻟَﻭ ﺎَﻬُﺘْﺤَﻜْﻧَﺃ ،ْﺖَﻗَﺪَﺻ :َﻢَّﻠَﺳَﻭ ِﻪْﻴَﻠَﻋ ُﻪﻠﻟﺍ ﻰَّﻠَﺻ ِﻪَّﻠﻟﺍ » ،ِﻚَﻟ َﺡﺎَﻜِﻧ ﺎَﻟ ِﺖْﺌِﺷ ْﻦَﻣ ﻲِﺤِﻜْﻧﺎَﻓ ﻲِﺒَﻫْﺫﺍ»
হযরত সালামা বিনতে আব্দুর রহমান রাঃ থেকে বর্ণিত
তিনি বলেন, একদা এক মেয়ে রাসূল সাঃ এর কাছে
এসে বলল, হে আল্লাহর রাসূল!
আমার পিতা! কতইনা উত্তম পিতা!
আমার চাচাত ভাই আমাকে বিয়ের
প্রস্তাব দিল আর তিনি তাকে ফিরিয়ে দিলেন। আর এমন এক ছেলের সাথে বিয়ে
দিতে চাইছেন যাকে আমি অপছন্দ করি।
এ ব্যাপারে রাসূল সাঃ তার পিতাকে
জিজ্ঞাসা করলে পিতা বলে, মেয়েটি সত্যই বলেছে। আমি তাকে এমন পাত্রের
সাথে বিয়ে দিচ্ছি যার পরিবার ভাল নয়।
তখন রাসূল সাঃ মেয়েটিকে
বললেন, “এ বিয়ে হবে না, তুমি যাও, যাকে
ইচ্ছে বিয়ে করে নাও”।
{সুনানে সাঈদ বিন মানসূর, হাদীস নং-৫৬৮, মুসন্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, হাদীস নং-১০৩০৪, মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-১৫৯৫৩, দিরায়া ফী তাখরীজি আহাদিসীল হিদায়া
হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত
কুমারী মেয়ে রাসূল সাঃ এর কাছে এসে
বলল, আমার পিতা আমার অপছন্দ
সত্বেও বিয়ে দিয়েছে, তখন রাসূল সাঃ সে মেয়েকে অধিকার দিলেন, যাকে ইচ্ছে
বিয়ে করতে পারে বা এ বিয়ে রাখতেও
পারে।
{মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-২৪৬৯, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-১৮৭৫, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-২০৯৬, সুনানুল কুবরা নাসায়ী, হাদীস নং-৫৩৬৬, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-৩৫৬৬
হযরত বুরাইদা রাঃ থেকে বর্ণিত।
তিনি বলেন, জনৈক মহিলা নবীজী সাঃ এর কাছে এসে বলল, আমার পিতা আমাকে তার ভাতিজার কাছে বিয়ে দিয়েছে, যাতে তার মর্যাদা বৃদ্ধি পায়। রাবী বলেন, তখন রাসূল সাঃ বিষয়টি মেয়ের ইখতিয়ারের উপর ন্যস্ত করেন, অর্থাৎ ইচ্ছে করলে বিয়ে রাখতেও পারবে, ইচ্ছে করলে ভেঙ্গেও দিতে পারবে। তখন মহিলাটি বললেন, আমার পিতা যা করেছেন, তা আমি মেনে নিলাম। আমার উদ্দেশ্য ছিল, মেয়েরা যেন জেনে নেয় যে, বিয়ের ব্যাপারে পিতাদের চূড়ান্ত মতের অধিকার নেই {সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-১৮৭৪, মুসনাদে ইসহাক বিন রাহুয়াহ, হাদীস নং-১৩৫৯, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-৩৫৫৫}
উল্লেখিত হাদীস ছাড়াও আরো এমন অনেক হাদীস রয়েছে, যা স্পষ্ট ভাষায় প্রমাণ করে যে, বিয়ের ক্ষেত্রে অভিভাবক নয়, প্রাপ্ত বয়স্ক মেয়ের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। এক্ষেত্রে পিতা বা অভিভাবকের হস্তক্ষেপের অধিকার নেই। সুতরাং প্রাপ্ত বয়স্ক মহিলা অভিভাবক ছাড়া বিয়ে করে নিলে তা সম্পন্ন হয়ে যাবে। বিপরীতমুখী হাদীসের জবাব কি? যে সকল হাদীস দ্বারা একথা বুঝা যায় যে, অভিভাবক ছাড়া বিয়ে সম্পন্ন হয় না, সেগুলোর অনেকগুলো জবাব মুহাদ্দিসীনে কেরাম ও ফুক্বাহায়ে কেরাম দিয়েছেন। হাদীসটি আমরা দেখে নেই
, তাহলে বোঝাতে সুবিধা হবে ﻪﻠﻟﺍ ﻰَّﻠَﺻ ِﻪَّﻠﻟﺍ ُﻝﻮُﺳَﺭ َﻝﺎَﻗ :ْﺖَﻟﺎَﻗ ،َﺔَﺸِﺋﺎَﻋ ْﻦَﻋ :َﻢَّﻠَﺳَﻭ ِﻪْﻴَﻠَﻋ »ِﻥْﺫِﺇ ِﺮْﻴَﻐِﺑ ْﺖَﺤَﻜَﻧ ٍﺓَﺃَﺮْﻣﺍ ﺎَﻤُّﻳَﺃ ٌﻞِﻃﺎَﺑ ﺎَﻬُﺣﺎَﻜِﻨَﻓ ،ﺎَﻬﻴِﻟﺍَﻮَﻣ«ٍﺕﺍَّﺮَﻣ َﺙﺎَﻠَﺛ ، » ْﻥِﺈَﻓ ْﻥِﺈَﻓ ،ﺎَﻬْﻨِﻣ َﺏﺎَﺻَﺃ ﺎَﻤِﺑ ﺎَﻬَﻟ ُﺮْﻬَﻤْﻟﺎَﻓ ﺎَﻬِﺑ َﻞَﺧَﺩ ُﻪَﻟ َّﻲِﻟَﻭ ﺎَﻟ ْﻦَﻣ ُّﻲِﻟَﻭ ُﻥﺎَﻄْﻠُّﺴﻟﺎَﻓ ﺍﻭُﺮَﺟﺎَﺸَﺗ
হযরত আয়শা রাঃ থেকে বর্ণিত
রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, যে মহিলাকে তার অভিভাবক বিয়ে দেয়নি, তার বিয়ে বাতিল, তার বিয়ে বাতিল, তার বিয়ে বাতিল। এরপর স্বামী যদি তার তার সাথে মিলামিশা করে তবে সে মহরের অধিকারী হবে স্বামী তার সাথে [হালাল পদ্ধতিতে] মেলামেশা করার কারণে। আর যদি তাদের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দেয়, তবে যার অভিভাবক নেই, বাদশাই তার অভিভাবক বলে বিবেচিত হবে। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-১৮৭৯, সুনানে তিরামিজী, হাদীস নং-১১০২, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-১৮৭৯} হাদীসটির বিষয়ে মন্তব্য ইমাম বুখারী রহঃ বলেন, হাদীসটি মুনকার। {আলইলালুল কাবীর-২৫৭} ইমাম তিরমিজী রহঃ বলেন, হাসান। {সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং-১১০২} ইমাম তাহাবী রহঃ বলেন, হাদীসটি ফাসিদ। {শরহু মাআনিল আসার-৩/৭} ইবনে কাত্তান রহঃ বলেন, হাদীসটি হাসান। {আলওয়াহমু ওয়ালইহামু-৪/৫৭৭}
আয়শা সিদ্দিকা রাঃ থেকে বর্ণিত হাদীসটির বিষয়ে ইমাম বুখারী রহঃ থেকে মুনকার হওয়ার এবং ইমাম তাহাবী রহঃ থেকে ফাসিদ হওয়ার কালাম রয়েছে। তাই আমরা এর উপর আমল করি না। পক্ষান্তরে উপরে বর্ণিত সহীহ মুসলিম ও মুয়াত্তা মালিকের বর্ণনাটি সহীহ
যেমন উল্লেখিত অভিভাবক ছাড়া মহিলা কর্তৃক বিয়ে সম্পন্ন না হওয়ার হাদীসটি হযরত আয়শা সিদ্দিকা রাঃ এর। অথচ খোদ আয়শা রাঃ তার ভাই আব্দুর রহমানের মেয়ে হাফসাকে তার অভিভাবক আব্দুর রহমানকে ছাড়াই নিজে বিয়ে দিয়েছিলেন মুনজির বিন যুবায়েরের সাথে
{মুয়াত্তা মালিক, হাদীস নং-২০৪০, তাহাবী শরীফ, হাদীস নং-৪২৫৫, সুনানুস সাগীর লিলবায়হাকী, হাদীস নং-২৩৭৪, মারেফাতুস সুনান ওয়াল আসার, হাদীস নং-১৩৫২২, সুনানে কুবরা লিলবায়হাকী, হাদীস নং-১৩৬৫৩, মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-১৫৯৫৫}
সুতরাং বুঝা গেল যে, উক্ত হাদীস দ্বারা খোদ বর্ণনাকারী হযরত আয়শা রাঃ নিজেই বিবাহ শুদ্ধ হয় না একথা বুঝান নি। বরং এর দ্বারা উদ্দেশ্য হল, বিয়ে অসম্পূর্ণ হয় অভিভাবক ছাড়া। এছাড়া হাদিসটিকে যদি সহিহ হিসেবেও ধরে নেয়া হয় ওয়ালি পিতামিতা ছাড়া অন্য কেউ হতে পারবে না একথা বলার সুযোগ নেই। অর্থাৎ ওয়ালি ছাড়া বিয়ে হবে না সত্য কিন্তু ওয়ালি পিতামাতা হতে হবে এমন কোন বাধ্যবাধকতা নেই। তাহলে আমরা এই সিদ্ধান্তে আসতে পারি কেউ যদি ভালবেসে ফেলে এবং বাবা মা যদি মেনে না নেই তাহলে অন্য কাউকে অভিভাবক বানিয়ে বিয়ে করা সম্পূর্ণ জায়েজ। ইসলামে বিয়ে সঠিক হবার শর্ত হল ছেলে মেয়ের ইচ্ছা থাকতে হবে ও বিয়ের সাক্ষী থাকতে হবে। বিয়েতে পিতা মাতার অনুমতি আছে কিনা এটা দেখার বিষয় না। এই হাদীস টার ব্যাখ্যা হল বিয়েতে পিতা মাতার অনুমতি থাকা ভাল। কিন্তু বিয়েতে পিতা মাতার অনুমতি না থাকলেও বিয়ে হয়ে যাবে কারন বিয়ে সঠিক হবার ক্ষেত্রে ছেলে মেয়ের নিজ ইচ্ছা ও সাক্ষী লাগে। আর অনেকেরই তো পিতা মাতা বেচে নাই তাই বলে কি তারা আর কোনদিন বিয়ে করতে পারবে না।
এই কথাগুলি রোবটের মত নেবেন না|
কেউ একজনকে দেখলাম বল্লো যে
বিয়েতে মাবাবা অবশ্যই দরকার তাই ভুল ভাঙানোর জন্যে দিলাম|
নিজের বিবেচনা দিয়ে বিচার করবেন,যারা
বলে যে বাবামা(জীবীত) ব্যতীত
বিয়ে হবে না,তারা কেন তাহলে ভেবে দেখে না ইসলাম কিভাবে পূর্ণ জীবন বিধান হলো? অর্থাৎ ইসলাম সকল সমস্যাদিই জানে|
আপনার কোনো বিষয়ে সন্দেহ থাকলে
নিজে একটু হাদীস খুজে বিবেচনা করে দেখবেন।
ফতোয়াবাজরা ইসলামের ১৩টাও বাজাতে পারে।
একটা দুটা হাদীসে কখনও (ক্ষেত্রবিশেষে) ফতোয়া দেয়া যায় না,কেননা হাদীসগুলো বিভিন্ন সমস্যাদির প্রেক্ষাপটে বর্ণিত
আল্লাহ্ তাঅালার নিকট শুকরিয়া যে তিনি
হযরত মুহাম্মদ (স:) কে মানবজাতির নিকট রহমত রূপে পাঠিয়েছেন।
ধন্যবাদ
ছেলেদের বিয়ের ক্ষেত্রে অভিভাবকের অনুমতি প্রয়োজন নেই। তবে পরামর্শ করা উত্তম। কারণ ছেলেরা যখন প্রাপ্তবয়স্ক হয় তখন তারা নিজেদের অভিভাবক নিজেরাই হয়ে যায়। কিন্তু মেয়েরা কখনো নিজেদের অভিভাবক নিজেরা হতে পারে না। বিয়ের আগে মেয়েরা তার বাবার অভিভাবকত্বের অধীনে থাকে যদি বাবা না থাকে সে ক্ষেত্রে বড় ভাই এবং বড় ভাই না থাকলে চাচা, যেঠা, মামা, পালক পিতা, জারি দিন অস্ত্র থাকুক তার অভিভাবকত্ব থাকে। অতএব তখন মেয়েটার যে অভিভাবক থাকে তার অনুমতি ছাড়া ওই মেয়েটা বিয়ে করতে পারবে না। যদি সেই অভিভাবক তাকে সারা জীবন বিয়ে না দিতে চায় অথবা এমন কারো কাছে বিয়ে দিচ্ছে, যার স্বভাব চরিত্র ভালো না হতে পারে সেও মুসলিম, এরকম কিছু হলে ওই ব্যক্তি মেয়েটার অভিভাবকত্ব হারিয়ে ফেলবে। তখন মেয়েটা তার নিজের পছন্দ মত কাউকে বিয়ে করতে পারবে। তার আগে নয় এক ব্যক্তি বিভিন্ন হাদিসের উদ্ধৃতি দিয়েছেন দেখুন আমার কথাগুলোই হাদিসের সাথে মিলে যাবে ওই ব্যক্তি কি বলেছে আমি সঠিক জানিনা তবে আপনি শুধু হাদিসের অর্থ গুলো দেখুন এবং আমার উত্তরটা ওই হাদিসের সাথে মিলিয়ে দেখুন দেখবেন হুবহু মিলে যাবে আশা করি আপনি বিষয়টা বুঝতে পারবেন