নামাযে মুক্তাদী যখন ইমামের পিছনে নামায আদায় করবেন, তখন সুরা ফাতিহা পাঠ করতে হবে কি না তা নিয়ে উলামা দের মাঝে মতবিরোধ আছে।
ইমাম মালিক ও ইমাম আহমদ (রহঃ) তাদের উভয়েরই মত হলঃ ইমাম যখন কেরাত শব্দ করে জোরে জোরে পড়েন, ফজর, মাগরিব, এশা এর ক্ষেত্রে মুক্তাদীর ইমামের পিছনে সুরা ফাতিহা পাঠ করার দরকার নেই। কিন্তু ইমাম যখন কেরাত চুপে চুপে পড়েন, যোহর, আসর এর ক্ষেত্রে সুরা ফাতিহা পাঠ করতে হবে।
ইমাম শাফেয়ী (রহঃ) এর প্রসিদ্ধ মত হচ্ছে, জাহরী নামায এবং সিরী নামায উভয় ক্ষেত্রেই মুক্তাদীর সুরা ফাতিহা পাঠ করতে হবে।
ইমাম আবু হানিফা, আবু ইউসুফ এবং মুহাম্মদ (রহঃ) তারা সবাই তাদের মতামতে এক। তারা বলেছেন, ইমামের পিছনে মুক্তাদীর পবিত্র কোরআনের যে কোন অংশ তিলাওয়াত করা, সেটি সুরা ফাতিহা হোক বা অন্য কোন আয়াত হোক, জায়েজ নেই, সিরী এবং জাহরী উভয় নামাযের ক্ষেত্রে।
হানাফি মাযহাব মতে ইমামের পেছনে মুকতাদী সূরা ফাতেহা বা অন্য কোন সূরা পড়বে না। এর প্রমাণগুলো নিম্নে প্রদত্ত হলোঃ
আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেছেন, আর যখন কোরআন পড়া হয় তখন তা মনোযোগ দিয়ে শোনো এবং চুপ থাকো, যাতে তোমাদের প্রতি দয়া করা হয়। (সুরা : আরাফ, আয়াত : ২০৪)।
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যাদের ইমাম আছে ইমামের কিরাআতই তার কিরাআত। (সুনানে ইবনে মাজাহ, অধ্যায়ঃ ৫/, হাদিস নম্বরঃ ৮৫০)।
⛬ এই হাদীসে মুলনীতি বলে দেওয়া হয়েছে, মুকতাদীর জন্য আলাদা করে সূরা ফাতেহা বা অন্য কোন সূরা পড়ার প্রয়োজন নেই। বরং ইমামের কিরাআতই তার জন্য যথেষ্ট হবে।